পরদিনের ভোর ধরতে বৃহস্পতিবার সন্ধার বাসযোগে আমরা রওয়ানা হবো তেতুলিয়ার উদ্দেশ্যে। তেতুলিয়া পৌঁছে ধরবো বাংলাবান্ধার অটো। হিমালয় দেখা গেলে তো মিশন কমপ্লিট। সেদিন আমরা ঘুরবো নানা সমতলের চা বাগানে, পাথর তোলা দেখবো মহানন্দা নদীতে, চিনবো নানা সীমান্ত নদী, ঘুরবো তেতুলিয়ার জনবিরল পথে-প্রান্তরে। সেইসাথে মহারাজার দীঘিসহ ভেতরগড়ের নানা অংশ ঘুরে ঘুরে খুঁজবো আমাদের পূর্বপুরুষদের সমৃদ্ধ ঘটনাবহুল অতীত। সেদিন রাতটা কাটবে তেতুলিয়াতেই। হতে পারে কোন বাজেট হোটেলে, কোন স্থানীয় কুড়েঘরে বা মিলে গেলে সরকারী ডাকবাংলোয়। অর্থাৎ অনিশ্চয়তা থাকছে। পরদিন ঘুম ভেঙ্গে আবারো চলবে হিমালয় দর্শন তারপর পঞ্চগড় শহরে ফিরে নদী দেখে ধাক্কামারা স্ট্যান্ড থেকে চেপে বসবো ঠাকুরগাঁও এর বাসে। ইচ্ছা হলে ঠাকুরগাঁও শহরে এক চক্কর মারা যায় অথবা চলে যেতে পারি বীরগঞ্জের জঙ্গলে। সেখানে কিছু সময় কাটিয়ে চলে যাবো কান্তজিও মন্দির ও সংলগ্ন মন্দিরে। তারপর ডাইরেক্ট দিনাজপুর শহর। রাতের বাস বা ট্রেনে চেপে রোববার ভোরে ঢাকা ফিরবো।
সুতরাং এই ট্যুরে আমরা দেখবো তিনটি জেলা: পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুর
কাঞ্চনজঙ্ঘা বা হিমালয় (কপালে মিললে)
ভেতরগড়
বাহিরগড়
মহারাজার দীঘি
মহারাজার প্রাসাদ
কান্তজীও মন্দির
প্রাচীন মসজিদ
দুইটি মোঘল স্থাপনা
রাজবাড়ি
তেল ও সময়ে কুলোলে ঠাকুরগাঁও শহর
মহানন্দা, তালমা, ডাহুকসহ অসংখ্য নদী
সমতলের চা বাগান
পাথর উত্তোলন শিল্প
বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট
আরো কত কি!
মোদ্দাকথা এই দুই দিন থাকবো দৌড়ের উপর। যত বেশি সম্ভব জায়গা দেখার চেষ্টা থাকবে।
এই ট্যুরে প্রচুর মিসম্যানেজমেন্ট হবে। প্যারা আর প্যারা। তাই যারা প্যারা নিতে রাজি তারাই আসবেন, বাকিদের জন্য সামনে অন্য লোকেশনে প্যারাহীন ইভেন্ট খোলা হবে।
কি ধরণের প্যারা হতে পারে: থাকার জায়গা এখনো ঠিক হয়নি। চেষ্টা থাকবে বেষ্ট। না পেলে যা পাওয়া যায় সে মানের হোটেলেই থাকতে হবে।
খাবার যেখানে যা পাওয়া যায় সবাই মিলে খাবো। তবে বেষ্টটা খাবো।
দৌড়ের উপর থাকবো ট্যুরটায়। তাই গদাই লস্করি চালের লোকেরা প্যারা খাবেন।
এটি একটি কমার্শিয়াল ইভেন্ট। টাকা বাঁচলে ফেরত পাওয়া যাবেনা। বেশি খরচ হলেও দিতে হবেনা।